বছরের প্রথম দিনে কল্পতরু উৎসব ঘিরে দর্শনার্থীদের ভীড় কামারপুকুর মঠে

1st January 2021 11:51 am হুগলী
বছরের প্রথম দিনে কল্পতরু উৎসব ঘিরে দর্শনার্থীদের ভীড় কামারপুকুর মঠে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  পয়লা জানুয়ারি আজকের দিনে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব কল্পতরু হয়েছিলেন।  এই কল্পতরু উৎসব কে কেন্দ্র করে কামারপুকুর মঠ ও মিশনের ভক্ত সমাগম হয়। এবছরও কল্পতরু উৎসব যথারীতি নিয়ম মেনে কামারপুকুর মঠ মিশনের চলছে। প্রতিবছরই এই উৎসব উদযাপন করা হয়।  ঠিক একইভাবে এ বছরও সমস্ত নিয়ম মেনে চলছে কল্পতরু উৎসব। কিন্তু কেবলমাত্র পার্থক্য দেখা গেছে ভক্ত সমাগমে কামারপুকুর মিশন এর পক্ষ থেকে ভক্ত সমাগমের জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। করোনা মহামারীর জন্য বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রবেশ পথে ভক্তদের  থার্মল স্ক্রীনিং এর মধ্য দিয়ে তাদের প্রবেশ করতে হবে মন্দির চত্বরে পাশাপাশি বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।  কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ মহারাজ বলেন আমরা আজকের দিনে কল্পতরু উৎসব পালন করে থাকি। এবছও উৎসব পালন করা হচ্ছে। ভোর বেলা মঙ্গল আরতি হয়েছে,গীতা পাঠ হয়েছে।শ্রী শ্রী ঠাকুরের বিশেষ পুজো চলছে এর পর হোম হবে। সন্ধ্যা বেলায় আরতি হবে। এবছর করোনার জন্য ভক্তদের অবাধ প্রবেশ, ঘোরাফেরার জন্য সরকারি নিময় মানছি। প্রত্যেক ভক্তদের মাস্ক পরতে হবে। ছ ফুট দুরে দুরে দাগ কাটা আছে। ভক্তরা সেই দাগে গিয়ে দাঁড়াবেন। সকাল ৮-৩০ থেকে ১১ টা পর্যন্ত ভক্তরা প্রবেশ করতে পারবে, আবার বিকেল ৩-৩০ থেকে ৫ টা পর্যন্ত ভক্তরা দর্শন করতে পারবেন। দুপুরের প্রসাদ এবছর বন্ধ থাকছে। শ্রীরামকৃষ্ণ কাশীপুরে যখন ছিলেন আজকের দিনে গিরিশ ষোষ সহ অনান্য ভক্তরা উপস্থিন ছিলেন। গিরিশ ঘোষ রামকৃষ্ণদেবকে  ভগবান বলতেন। সেদিনে রামকৃষ্ণদেব গিরিশ ঘোষকে বলেছিলেন তুমি যে চারিদিকে বলে বেড়াও আমি ভগবান তুমি আমার মধ্যে কি দেখেছো। তখন গিরিশ ঘোষ বলেছিলেন প্রভু আপনাকে নিয়ে আমি কি বলবো। তখন রামকৃষ্ণ  দেব বলে ছিলেন তোমাদের আরকি বলবো। তোমাদের চৈতন্য লাভ হোক।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।